ইউরোপে সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়ার বৃত্তি লাভ করলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র

টুটুল কুমার সাহা ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-অর্থায়নে ইরাসমাস মুন্ডাস মাস্টার্স বৃত্তি প্রোগ্রামে একাধারে ৩ টি আলাদা প্রোগ্রামের জন্য শিক্ষাবৃত্তি লাভে বিবেচিত হয়েছেন। এই বৃত্তির আওতায় তিনি লাভ করবেন – ভ্রমণ ভাতা, মাসিক উপবৃত্তি, ইনস্টলেশন খরচ, টিউশন ফি, চিকিৎসা বীমা । বিগত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি , এই বৃত্তির আওতায় আপনি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা করার সুযোগ পাবেন, সকল ব্যয় বহনের পরেও কিছু টাকা খুব সহজেই সেভ করা যায়। আর সমগ্র ইউরোপ ঘোরার সুযোগ তো রয়েছে।

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম ৩ টি হলোঃ

1.MBRSea (International Master in Marine Biological Resources) দেশসমূহঃ বেলজিয়াম, নরওয়ে, পর্তুগাল।

2. MER (International Master in Marine Environment) দেশসমূহঃ ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল।

3. AquaH (International Master in Health Management in Aquaculture) দেশসমূহঃ বেলজিয়াম, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড।

তিনটি প্রোগ্রামের জন্য মনোনীত হলেও তিনি নির্বাচন করেছেন MER প্রোগ্রাম, যেখানে তিনি দুই বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামে মোট তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে, University of Bordeaux (ফ্রান্স); University of Basque (স্পেন) এবং University of the Azores (পর্তুগাল) এ পড়াশোনা/গবেষণা করবেন।

টুটুল কুমার সাহা বাংলাদেশের যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৫-১৬ সেশনের ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ২০১৯ সালে এফএমবি বিভাগ থেকে ফিশারিজে স্নাতক এবং পরবর্তীতে ২০২২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)ময়মনসিংহ থেকে ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতকোত্তর চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে তিনি তার মাস্টার্স থিসিস সুপারভাইজার (প্রফেসর ড. জাকির হোসেন) এর ল্যাবে রিসার্চ এসিস্টেন্ট (RA) হিসাবে গবেষণা শুরু করেন এবং লিটারেচার রাইটিং, পোস্টার/ওরাল প্রেজেন্টেশন, ডেটা এনালাইসিস সহ নানাবিধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

রিসার্চ এসিস্টেন্ট থাকা অবস্থায় টুটুল সাহা ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-অর্থায়নে ইরাসমাস মুন্ডাস মাস্টার্স বৃত্তি প্রোগ্রামে একাধারে ৩ টি আলাদা প্রোগ্রামের জন্য শিক্ষাবৃত্তি লাভে বিবেচিত হয়েছেন।

টুটুল সাহার লক্ষ্য হলো ইরাসমাস মাস্টার্স সুসম্পন্ন করে, পিএইচডি তে সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় সমুদ্র সেক্টরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। তিনি আরও যুক্ত করেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিশারিজ বা মেরিন সায়েন্সে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে।

তার একাডেমিক প্রফাইলটি তুলে ধরা হলো (এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত) –

জিপিএ (ব্যাচেলর) : ৩.৭৯৪/৪.০০

জিপিএ (মাস্টার্স) : ৩.৯০৭/ ৪.০০

আইইএলটিএস (একাডেমিক) স্কোর : ৭

গবেষণাপত্র : ৩ টি (+২টি প্রকাশের অপেক্ষায়)

কনফারেন্স উপস্থাপনা: ২টি

তার গবেষণা কর্ম সম্পর্কে জানতে,  রিসার্চগেট প্রফাইলটি সংযুক্ত করা হলো (ক্লিক করুন)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *